হাওর ডেস্ক::
বাংলাদেশের জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকেল পোনে ৫টায় ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত পুরাতন বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের লগো উন্মোচন করে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৯ই মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৭ই মার্চ থেকে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন শুরু হলেও আজ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো ক্ষণগণনা।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ১৯৭১ সালের ১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এর আগে পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। যেহেতু এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসেন সেজন্য তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগনণাও শুরু হলো আজ থেকে।
শুক্রবার বিকেল পোনে ৫টায় তেজগাঁও এলাকার পুরাতন বিমান বন্দরে নানা অঙ্গনের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকলে ৪:৩০মিনিটে শেখ হাসিনা আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর সেখানে একটি প্রতীকী বিমান অবরতণ করে। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি শেখ মুজিবকে বহনকারী বিমান এখানেই অবতরণ করেছিল। সেজন্যই প্রতীকী বিমান অবতরণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
৪৮ বছর আগে বিমান থেকে নামার পর শেখ মুজিবুর রহমানকে যেভাবে বরণ করা হযয়ছিল ঠিক একই কায়দায় প্রতীকী গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এছাড়া বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ এবং তোপধ্বনিও দেয়া হয়।
সরকার ঘোষিত ‘মুজিব বর্ষের’ ক্ষণগণনা উপলক্ষে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পুরাতন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিরা অনলাইনে নিবন্ধনও করেছিলেন।
ক্ষণ গণনার জন্য দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি স্থানে এবং প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলায় ঘড়ি বসানো হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ৮০টির বেশি স্থানে ক্ষণ গণনার ঘডড়ি বসানো হয়েছে।