বিশেষ প্রতিনিধি::
তাহিরপুর সীমান্তে মাদ্রাসায় পড়–য়া সাত বছর বয়সী শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ দাদা চাচা ফুফু সহ আরো সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছেন। এটাও পারিবারিক দ্বন্ধের বলি কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনাটিও দিরাইয়ে আাগে ৫ বছরের শিশু তুহিন হত্যার মতো তোলপাড় শুরু করেছে।
নিখোজের তিনদিন পর শনিবার ভোররাত সোয়া ৫টার দিকে বস্তাবন্দি তোফাজ্জলের লাশ পাওয়া যায়। নিহত তোফাজ্জল উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার জুবায়েল হোসেনের শিশু পুত্র ও বাঁশতলা দারুল হেদায়েত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ উপজেলার বাঁশতলার তোফাজ্জলের দাদা জয়নাল, চাচা ইকবাল হোসেন, ফুফু শেফালী বেগম, ফুফু শিউলী বেগম, প্রতিবেশী হবি রহমান, তার স্ত্রী খইরুন নেছা ও তাদের ছেলে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এর আগে শনিবার সকালে নিহত তোফাজ্জলের পরিবারের সাথে পুর্ব বিরোধ মামলা মোকদ্দমার জের থাকায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথম দফায় গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে আটককৃত কালা মিয়ার ছেলে সেজাউল কবিরের সঙ্গে নিহত শিশু তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ বিয়ের পরে শিউলিকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে পুর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলাকালীন অবস্থায় গত বুধবার নিখোঁজ হয় শিশু তোফাজ্জল।
অপরদিকে মামলা মোকদ্দমা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শিশু তোফাজ্জলকে অপহরণ পরবর্তী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে। শনিবার সন্ধায় তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, দু.দফায় ৯ জনকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।