হাওর ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাদরাসাছাত্র শিশু তোফাজ্জল (৭) অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন সন্দেভাজন আসামি তোফাজ্জলের চাচা সারোয়ার হাবিব রাসেল। সম্পর্কে আসামি রাসেল তোফাজ্জলের বাবার আপন ফুফাত ভাই।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদ্বীপ পাল পুলিশি রিমান্ডে থাকা সারোয়ার হাবিব রাসেলের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জানা যায়, রাসেলের বসতঘরের শয়ন কক্ষ থেকে আলামত হিসেবে জব্দকৃত বক্সখাটের ড্রয়ারের রাখা রক্তমাখা ভেজা লুঙ্গি, সোফার ওপর রাখা বালিশের দুটি রক্তমাখা ভেজা তোয়ালো, বক্সখাটের বিছানার নিচে রাখা ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে লেখা চিরকুটের খাতার অবশিষ্ট অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জিনিসপত্র নিজের বলে স্বীকার করে খুন হওয়া শিশু তোফাজ্জলের চাচা রাসেল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি অনেক গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তোফাজ্জলের চাচা রাসেল ছাড়াও আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা বলার সময় এখানো হয়নি। তদন্ত শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার (১১ জানুয়ারি) ভোরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বস্তাবন্দি অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভোর সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামে থাকা এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছন থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার একটি চোখ উপড়ানো ও একটি পা ভাঙা ছিল।