হাওর ডেস্ক ::
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থী বহিষ্কার সংক্রান্ত নীতিমালার ১১ নম্বর বিধিটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ।
তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হয়ে তিনি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন।
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আর আদালতের নজরে আনা প্রতিবেদনের বিষয়ে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ আদালতের এক তলব আদেশে হাজির হন। তখন আদালত বলেন, ‘আমাদের আদেশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে আপনাকে কোর্টে আসতে হতো না।’ পরে তার আইনজীবী শফিক মাহমুদ আদালতকে বলেন, ‘হাইকোর্ট যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
আদালত শফিক মাহমুদকে প্রশ্ন করেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিটি কি বাতিল করা হয়েছে? আমরা তো রুল ইস্যু করেছিলাম ওই বিধিটি বাতিল করার জন্য।’
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিধিটি মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে।’ এরপরই হাইকোর্ট মামলায় জারি করা রুলটি নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
পরে আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেন, ‘বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করলে তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা উচিত হয়নি। তাদের বহিষ্কার না করে অন্যকোনও উপায় অবলম্বন করা যেতে পারতো।’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়—পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।