হাওর ডেস্ক ::
১৬ বছরের নীচে ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তি হিসেব মৃত্যুদণ্ড কেন নয় ও কেবল ধর্ষণের বিচারের জন্য পৃথক আদালত গঠনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের প্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় কারো মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবনের সাজার যে বিধান রয়েছে সে যাবজ্জীবন সাজা উঠিয়ে দিতে সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবেনা, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এছাড়াও ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের জন্য সাক্ষি সুরক্ষা আইন কেন প্রনয়ণ করা হবেনা, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য কেন ডিএনএ ডাটাবেজ করা হবেনা, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমতেদর সুরক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবেনা, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কেন সতর্কতা অবলম্বন করা হবেনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এদিকে সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়কে কমিটি করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, আইনজীবী, বিচারক, সমাজের সচেতন নাগরিক, সমাজের বিশিষ্টজন, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকরণ চিকিৎসক ও চাইলে ভিকটিমদের যুক্ত করতে বলা হয়েছে। আর ওই কমিটিকে ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরী করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।