স্টাফ রিপোর্টার::
জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির এবং তাদের নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বাংলার সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমান নষ্ট করে তাদেরকে বেঈমান বানাচ্ছে। গুমরাহি ওয়াজের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে যোদ্ধাপরাধী সাঈদী। শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে অনুষ্ঠিত ‘মওদুদীবাদের স্বরূপ উদঘাটন মাহফিল’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার আলেম-ওলামাবৃন্দ। তারা জামায়াত শিবিরকে ইসলামের ছদ্মবেশি শত্রু বলে উল্লেখ করে ব্যক্তিসহ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আলেম-ওলামাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা আব্দুল কায়ূম, শায়খুল হাদিস মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান খান, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা মোশতাক আহমদ, মাওলানা সাব্বির আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলার সহজ সরল ও প্রকৃত দ্বীনদার মুসলমানগণ যাদেরকে পীর-মাশায়েখ ও দ্বীনদার জানে জামায়াত শিবির তাদেরকে ‘মোনাফিক’ বলে। তারা বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে ‘মুসলমান’ মনে করেনা। তারা নিজেদেরই কেবল মুসলমান দাবি করে। ইসলামের নামে সমাজে সন্ত্রাস ও খুনের বিস্তারকারী জামায়াত শিবির বাদে অন্য দলের কেউ রাজনৈতিক সংঘাতে মারা গেলে তারা বলে, কুকুর মারা গেছে। তাদের কেউ মারা গেলে শহীদ বলে। ছাত্র দলের নেতা মারা গেলেও তারা শহীদ বলেনা। তাদের নেতাদের সমালোচনা করলে তারা মানুষকে খুন করে প্রতিশোধ নেয়, বলে কুকুর হত্যা করেছে। এভাবে তারা রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিশোধ নেয়।
বক্তারা বলেন, আমাদের চার ঈমাম আবু হানিফা (রা.), আহমদ ইবনে হাম্বল (রা.), ইমাম মালিক (রা.) ইমাম শাফী (রা.) কে তারা ইমাম মনে করেনা। জামায়াত শিবিরের দৃষ্টিতে তারা ‘কাফিরের লীডার’। শুধু তাদেরকেই নয় আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) ও তার সাহাবাদীদেরকেও সুদখোর, লোভী ও মিথ্যুক বলে ক্রমাগত কোরআন হাদিসের অবমাননা করছে।
বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবির বাহিরে ইসলামের কথা বলে, কিন্তু ভেতরে তারা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক। কোরআন হাদিসের চেয়ে মওদুদীর জামায়াত শিবিরের বই বেশি গুরুত্বের উল্লেখ করে। তারা রাজনৈতিক ট্রেনিং হিসেবে ইবাদতের হিসাব রাখে। ইবাদতকে ইবাদত মনে করেনা। ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত নিয়েও মওদুদী ঠাট্ট্রাবিদ্রুপ করছে।
বক্তারা জামায়াত শিবিরের অপতৎপরতা এবং অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নবী রসুলের বিরোধীতা ও অবমাননা করায় সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।