স্টাফ রিপোর্টার::
যৌতুক সংক্রান্ত মামলায় সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদেশ ৬ বার অমান্য করে নালিশের প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে শিমুলবাক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গত ২৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জাকির হোসেনের নির্দেশে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দ-বিধির ১৭৪/১৮৭ ও ১৮৮ ধারায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আছর উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ শেফা আক্তার তার স্বামী আজিজুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পিটিশন নং ৩৫১/২০১৮ দায়ের করেন। নালিশকারীর আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুকে তদন্ত করে ট্রাইব্যুনালে প্রদানের জন্য আদেশ দেন। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করে পরপর ৬টি নির্ধারিত তারিখ অতিক্রম করেন। ৬বার আদালত সময় দেবার পরও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় গত বছরের ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে শশরিরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবও তিনি দেননি। ফলে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জাকির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুর কার্যকলাপ ট্রাইব্যুনালের আদেশের প্রতি গাফিলতি বলে দণ্ডবিধির ১৭৪, ১৮৭ ও ১৮৮ ধারায় মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সিআর মামলা গ্রহণ করেন।