স্টাফ রিপোর্টার::
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (রব) এর সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ও এককালের তুখোর ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল লেইছ ওরফে মামুন আর নেই। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক জানিয়েছেন।
প্রায় ২ মাস আগে পেটে টিউমারজনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তিনি। রোগ সনাক্তির পর তাঁকে কয়েক দফা পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থেরাপি গ্রহণ করতে হয়। তাঁর তৃতীয় ও সর্বশেষ থেরাপি গত ২২ জানুয়ারি গ্রহণের পর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে সুনামগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে তার বিশাল পরিচিতি ছিল। ছাত্রলীগের বিভক্তির পর ছাত্রলীগ (রব) এর প্রধান সংগঠক হিসেবে জেলায় অবস্থান নেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি সংগঠনটির সভাপতি ও মরহুম মমিনুল মউজদীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনটি সুনামগঞ্জে সুদৃঢ় অবস্থান নেয়। একই বছর তিনি সুনামগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তিতে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র- এক পত্রবধু, নাতি-নাতনি ও বয়োজ্যোষ্ঠ তিন ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে যান। তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ট ।
আবুল লেইছ মামুনের গ্রামের বাড়ী জেলার ছাতক উপজেলার ছাতক ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে। তিনি সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মসয়ুদুল হাসান সাহেবের চাচাতো ভাই।
আবুল লেইছ মামুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্যের মধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতি ও সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. শহীদুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, অ্যাড. রইস উদ্দিন , মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, অ্যাড. হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, অ্যাড. চাঁন মিয়া, পাবিলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শামছুন্নাহার শাহানা রব্বানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আইনুল ইসলাম বাবলু, অ্যাড. রুহুল তুহীন, জাসদ নেতা দেওয়ান ইসকান্দার রাজা চৌধুরী (সুবক্ত রাজা), মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, মালেক হোসেন পীর, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাদীর আহমদ, জাসদ সভাপতি এনামুজ্জামান চৌধুরী, সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেন রায়, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রওনক আহমদ বখত, সাধারণ সম্পাদক শেরগুল আহমদ, রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, কালের কন্ঠের প্রতিনিধি শামস শামীম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী প্রমুখ।