স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জে হাওরের বাধ নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জামালগঞ্জ উপজেলার হাওরপাড়ের কৃষকদের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসী হাওরের বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পালের অপসারণও দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাওররক্ষার নামে অপ্রয়োজনীয় ও অধিক বরাদ্দের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়। জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমদ লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জামালগঞ্জে গত বছর ৫৩টি প্রকল্পে ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবছর অধিকাংশ বাঁধ অক্ষত থাকলেও ৬৯টি প্রকল্প তৈরি করে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মূলত সরকারি টাকা লোপাট করতেই ভূয়া প্রকল্প গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে অপ্রয়োজনীয় ও অধিক বরাদ্দের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গণশুনানী করার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অনুমোদনে জড়িত একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে আতাত করে নীতিমালা বহির্ভূত পিআইসি দিয়ে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। যেখানে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা সেখানে প্রকল্প না নিয়ে দুদকের মামলার আসামি, একই পরিবারের লোকসহ বিতর্কিতদের মাধ্যমে কমিটি করে হাওররক্ষা বাধের টাকা লোপাট করার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। যারা অগ্রিম টাকা দিয়েছে তাদের দিয়েই পিআইসি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়াও লিখিত বক্তব্যে জামালগঞ্জে নৌপথে চাঁদাবাজি, সরকারি ধানক্রয়ে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ আনেন। বিশেষ করে হাওররক্ষা বাঁধে দুর্নীতির কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে ও নি¤œমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পালের অপসারণসহ দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দীজেন্দ্র লাল দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক তালুকদার, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু তাহের, জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তারেক, জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক শামছুল আলম, সিলেট মহানগর কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রোকন প্রমুখ।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, পিআইসি গঠনে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। নীতিমালার আলোকেই গণশুনানী করে সংশ্লিষ্টদের কমিটি দিতে বলেছিলাম। কমিটিগুলো অফিসে জামা দেবার পর উপজেলা কমিটি যাছাই বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে। আমরা নীতির বাইরে গিয়ে কিছু করিনি।