তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে প্রায় একযুগ ধরে থাকা পাগলিনী মা নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ার পর তার পিতৃপরিচয়ের কোন হদিস মিলছে না।বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার বাদাঘাট বাজারের নারী পুরুষ দুই পরিচ্ছন্ন কর্মীর তত্বাবধানে ৩৫ বছর বয়সী পাগলিনী ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রসব করেন।
বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির হেফাজতে অবস্থায় মা ও নবজাতক শিশু কন্যাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসাসেবার জন্য ভর্তি করানো হয়।
জানা যায়, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে বৃহস্পতিবার ভোররাতে টহলকালীন সময়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পাগলিনীকে প্রসব ব্যাথায় ছটফট ও চিৎকার করতে দেখে দ্রুত নারী -পুরুষ দুই পরিচ্ছন্ন কর্মীকে ডেকে নিয়ে তাদের হাতে সেবা শুশয্যার জন্য তুলে দেন।
এরপর নারী পরিচ্ছন্ন কর্মী কুলসুমা বেগম তার সহকর্মী পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে গেলে ওই পাগলিনী সকাল ৮টার দিকে এক ফুটফুটে শিশু কন্যা প্রসব করেন।বৃহস্পতিবার উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার বলেন, আমরা খুব লজ্জাকর পরিস্থিতি পড়েছি, একটি ভবঘুরে পাগলির সাথে কে এমন অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করে তার গর্ভে সন্তান ধারণ করিয়েছে সে প্রশ্নের উওর মিলছে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, চিকিৎসাসেবার পর আপাতত মা ও নবজাতক শিশু কন্যা ভাল আছেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি বললেন,পাগলিনীর শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, আপাতত দেখভালের জন্য বাদাঘাট এলাকার এক মহিলার হেফাজতে পাগলির শিশু কন্যাকে রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়াও এ নবজাতক শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় শনাক্ত করনে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।