বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জে শাল্লার ছায়ার হাওর রক্ষা ১২৪ প্রকল্প বেড়ি বাঁধের সভাপতি রঞ্জন সরকারকে অপসারণের জন্য কমিটির সদস্য সচিব সহ ৪ সদস্য স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনে র বারাবরে রবিবার ২ টায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে উলেখ্য করা হয়েছে ছায়ার হাওর ১২৪ নং পিআইসি সভাপতি মুরাদপুর গ্রামের রঞ্জন সরকারের অসহযোগীতার কারণে বাঁধের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সে তার মত চলছে। বাঁধের কাজ করছে কমিটির ৪ সদস্য। সভাপতি একাউন্ট করছেনা,টাকা উত্তোলন করতে আসে না, এক্সেভেটরের মালিককে কাজের টাকা দিতে পারছেনা তারা। অভিযোগে আরো লিখা হয়েছে। রঞ্জন সরকার কমিটির সদস্যদের স্বজনের নামে
মিত্যা কথা বলে চলেছে। বাঁধ নির্মানের সার্থে রঞ্জন সরকারকে অপসারণ করে কমিটির অন্য যে কোন সদস্যকে সভাপতি নিয়োগ করে কাজ সম্পন্ন করার কথা আবেদনে লিখা হয়েছে।
এনিয়ে রঞ্জন সরকারের সাতে কথা হলে সে বলে আমার কমিটির কে সচিব বা কে সদস্য আমি জানি না। বাঁধে যারা কাজ করে তারই টাকা দিবে,আমার কি। তিনি আরো বলেন আমার প্রয়োজন যখন হবে তখন যাব টাকা উটাতে। সরজমিনে সাইনবোর্ড দেখা যায় সদস্য সচিব জন্টু সরকার লিখা রয়েছে। সেটি তিনি কেন বলেন কমিটির সদস্য সুমন সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সভাপতির ঘাড়ে ভূত উটেছে। আর সেই ভুত হল কমিটির বাহীরের রন নামের এক ব্যক্তি।সে সভাপতির কাছের মানুষ। সেই ব্যক্তির প্ররোচনায় সভাপতি আমাদের কমিটির সাথে যোগাযোগ করছেনা। বাঁধ নির্মানের সার্থে বাদ্য হয়ে ই আমরা কমিটির সদস্যরা সভাপতির অপসারণের জন্য আবেদন করেছি।
অাবেদনকারী অন্য সদস্য নরেশ সরকার বলেন সভাপতি রঞ্জন ১২৪ নং পিআইসি নিয়ে অনলাইনে ভুয়া সংবাদ প্রকাশে বানোয়াট ও অসত্য কথা বলে বাঁধের কাজে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
অন্য এক জন সদস্য তম্নয় সরকা জানান, সভাপতি নিজই ঠিক নাই অন্যের নামে বদনাম করে। কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জন কাজ করছে শুধু সভাপতি একগুয়ামীর জন্য টাকা উত্তোলন করতে পারছিনা। তাকে অনেক বুৃঝিয়েছি।
এনিয়ে বাঁধের কাজে নিয়োজিত এক্সেভেটরের মালিক রতন সরকার বলেন এই পিআইসি সভাপতি রঞ্জনের ভুলের জন্য আমি টাকা পাচ্ছি না। সচিব জন্টু সরকার কাজ করাচ্ছে, কিন্তুু সভাপতিকে টাকা উটাতে নিতে পারি না। সে আছে শুধু বিভিন্ন জনের নামে মন্দ কথা বলতে। সে সভাপতি হয়ে ও আবুল তাবুল বলে। তিনি বলেন এখন কাজের টাকা নিয়ে আমি চিন্তায় আছি। তবে সচিব জন্টু সরকার বলেছে কাজ করেন, টাকা পাবেন,তাই কাজ করছি।
এবিষয়ে সদস্য সচিব জন্টু সরকার বলেন বাঁধের সার্থে ই আমাদের কমিটির সভাপতি বাতিল করা দরকার । আমরা কাজ করতেছি সভাপতি টাকা উত্তোলন করে দিচ্ছেনা। কাজ করবো টাকা তুলে দিবেনা এমন সভাপতি দিয়ে বাঁধের কাজ করা সম্বব হবেনা। তিনি বলেন তাকে বাতিল করে কমিটির যে কাউকেই সভাপতি দিলে আমাদের প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সহজ হবে, তাই এ অাবেদন করেছি।
এবিষয়ে বাপাউবো শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাউম বলেন অভিযোগ পেয়েছি, দু এক দিনের মধ্যে এর সমাধান হবে বলে জানান।
Attachments area