হাওর ডেস্ক ::
প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের উক্তিকে আপত্তিকর ও রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ এবং পুরনো তিনটি সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না, এটা রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন রাস্তার ভাষায় কথা বলে? ড. কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারো দেশে জ্বালাও-পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী উপযুক্ত জবাব দেবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা না। তার এ মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। এটা কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার।
এই মামলার বিলম্বের জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা সময়মতো আদালতে হাজিরা দিলে এই মামলা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতো।
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চারলেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এ সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলো।
সেতু তিনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পন্ন করায় ১৩শ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় কম হওয়ায় জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এই তিনটি সেতু দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সব প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য শিক্ষনীয় এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
চারলেন বিশিষ্ট এ সেতু তিনটি দেশের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব করবে এবং সব ধরনের পণ্য পরিবহন সহজ হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।