স্টাফ রিপোর্টার::
শেষ মুহুর্তে একাট্টা হয়ে ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের পক্ষে কাজ করছেন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদরা। গত সোমবার দিরাই শাল্লায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে এক ঝটিকা সফরে এসে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ইমনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এসময় ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনও তার বাসায় উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটকে আটকাতে সব চেষ্টাই করছেন তারা। এমন অভিযোগ করেছেন নূরুল হুদা মুকুটের ঘনিষ্টজনসহ নির্বাচনী বিশ্লেষকরা।
এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর ধর্মপাশাস্থ নিজ বাসভবনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক করেছেন। এর আগে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকও ছাতক-দোয়ারার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইমনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। মুহিবুর রহমান মানিক ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট। তাছাড়া তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ-মৌলভী বাজার সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার রব্বানী শাহানা প্রকাশ্যে ব্যরিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের পক্ষে কাজ না করলেও তিনি কৌশলে কাজ করছেন। তার আপন ছোট বোন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী হওয়ায় তিনি কৌশলে ইমনের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। আজ তার বাস ভবনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত অনেক নারী সদস্য তার বাস ভবনে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।
শুরু থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মুখে মুখে নূরুল হুদা মুকুটের নাম থাকলেও সাংসদরা মাঠে নামায় ব্যারিস্টার ইমনও লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে নির্বাচনী বিশ্লেষকরা জানান। শেষ পর্যন্ত এই দুইজনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট বলেন, সাংসদ হয়ে যারা আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন তারা আইনকে অবমাননা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগও করেছি। তবে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিরাই এই অন্যায়ের জবাব ব্যাল্টের মাধ্যমে দিবেন বলে আমি বিশ্বাসী। কারণ তারা গত ৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তাদের সমর্থন ও দোয়ায় আমি প্রার্থী হয়েছি। তারা তাদের কথা রাখবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন।