হাওর ডেস্ক::
যেকোনো প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিস ক্রয় সম্পর্কে এখন জনগণের আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিস ক্রয় সম্পর্কে আমাদের জনগণের প্রচণ্ড আগ্রহ আছে। এটা খুব ভালো। তারা জানতে চায়, আমরা কোথায় কী কিনছি, কত টাকায় কিনছি, কেন কিনছি, এর চেয়ে আরও কম দামে বাজারে ছিল কি-না। ক্রয়ের বিষয়ে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ নির্ভুল করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক মহলে হাসাহাসি হতো। এখন আর সেদিন নেই। বর্তমানে জনশুমারি ও গৃহগণনার (আদমশুমারি) কাজ চলমান, এবার এর পরিসংখ্যান নিয়ে এ ধরনের (নেতিবাচক) কোনো মন্তব্য করার সুযোগ থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক আজকাল তাদের ডকুমেন্টে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যবহার করে। উল্লেখ করে সোর্স হিসেবে বিবিএস, বাংলাদেশ। আমরা এখন গর্ববোধ করি। অনেক মহল আগে এটা নিয়ে হাসাহাসি করত। কিন্তু এখন সেই দিন নেই। উত্তরোত্তর আরও ভালো করব।’
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পের আওতায় এ শুমারি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাস্তবায়ন করছে বিবিএস। এতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ১৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জিনিস আমরা ক্রয় করব। ক্রয় সম্পর্কে আমাদের জনগণের প্রচণ্ড আগ্রহ আছে। এটা খুব ভালো। তারা জানতে চায়, আমরা কোথায় কী কিনছি, কত টাকায় কিনছি, কেন কিনছি, এর চেয়ে আরও কম দামে বাজারে ছিল কি-না। ক্রয়ের বিষয়ে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।’
তিনি বলেন, ‘আগের তুলনায় চারগুণ সম্মানী দেয়া হবে মাঠ পর্যায়ের তথ্য গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের। এ সম্মানী দ্রুত প্রদান করতে হবে। আমি সচিব ও প্রকল্প পরিচালককে এ টাকা দ্রুত প্রদানের অনুরোধ করব।’
প্রকল্পে অর্থ খরচের বিষয়টি তিনি নিজে তদারক করবেন বলেও জানান মন্ত্রী এম এ মান্নান। এই শুমারির কাজ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।