বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে ত্রুটিপূর্ণ কাজের অভিযোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ৫ সভাপতিকে আটক করে দুই দিনের বিনাশ্রম দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একটি প্রকল্পের সভাপতিতে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ফসলরক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন্নাহার শাম্মীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতসোমবার দিনভর হাওররক্ষা বাধের কাজ পরিদর্শন শেষে বিকেলে পশ্চিম বীরগাও ও পূর্ব বীরগাও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৬টি প্রকল্পের সভাপতিদের এই দ- দেন।
জানা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৩১, ৩২ ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের একই হাওরের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০নং প্রকল্পের কমিটিগুলো নক্সা অনুযায়ী কাজ করছেনা। তাদের বাঁধগুলোতে ত্রুটিপূর্ণ কাজের পাশাপাশি স্লোপ না থাকা, দুর্মুজ না করাসহ প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন্নাহার শাম্মী বাধগুলো পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের আটক করেন। দ-িতরা হলেন পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়রে খাই হাওরের ২৭ নং পিআইসর সভাপিত মো. হিরন মিয়া, ২৮ নং পিআইসর সভাপতি এমরান হোসেন, ২৯ নং পিআইনর সভাপতি রুহুল আমীন, ৩০ নং পিআইসির সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও পূর্ব বীরগাঁও ইুনিয়নের খাই হাওরের ৩২ নং পিআইসির সভাপতি সয়েজ নুর। এদের প্রত্যেককে দুই দিনের বিনাশ্রম দ- দেওয়া হয়। একই হাওরের ৩১ নং পিআইসির সভাপতি জুবায়েল আহমদকে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদাল পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও উপ সহকারি প্রকৌশলী ফারুক আল মামুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মনিটরিং কমিটির সদস্য দিলীপ তালুকদার, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নুর কালাম, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদেরকে বার বার নির্ধারিত নক্সা মেনে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি। তারা কেউ কথা শুনেনি। যতটুকু কাজ করেছেন ততটুকুতেই ত্রুটি রয়েছে। এ কারণে পিআইসির ৫জন সভাপতিকে দুই দিনের বিনাশ্রম দ- ও একজনকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যরাও বাধের কাজে অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।