স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সমর্থনবঞ্চিত প্রার্থী ও তৃণমূল জনতা-জনপ্রতিনিধিদের প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট বিজয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ বিজয় জনতার। তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের। এ বিজয় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীগের। বৃহষ্পতিবার দুপুরে তিনি নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
নূরুল হুদা মুকুট বলেন, স্থানীয় সাংসদ, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক, দলীয় নেতাকর্মী, তৃণমূল জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে নিয়েই সুন্দরভাবে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। কারণ এ জয় তৃণমূল জনতা ও জনপ্রতিনিধিদের জয়। আওয়ামী লীগের ঐক্যের জয়। তিনি বলেন, সাংসদরা আমার বিরুদ্ধে গিয়ে শুধু কাজই করেননি, আমার ভোটারদের ভয়-ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়েছেন। আমার বিজয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তৃ বৃহত্তর স্বার্থে সেই বিভেদ ভুলে গিয়ে আমি সুনামগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে হাজীপাড়াস্থ বাস ভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি তৃণমূল জনতা ও জনতার প্রতিনিধিদের বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, জীতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সজিব রঞ্জন দাশ, চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ডিলার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর জেএস সাবু, ছাত্রলীগ নেতা জিসান এনায়েত রেজা চৌধুরী, দীপঙ্কর কান্তি দে প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় নূরুল হুদা মুকুট সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
নূরুল হুদা মুকুট সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এখতিয়ার বহির্ভূত কয়েকটি প্রকল্পের বর্ণনা তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।
মতবিনিময়ের শুরুতে পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল বলেন, অতীতের মতো কেন্দ্রে পাঠানো রিপোর্টে তৃণমূলের প্রকৃত খবর পাঠানো হয়না। যার ফলে ভুল রিপোর্ট যায় কেন্দ্রে। তৃণমূলের জনপ্রিয় মানুষকে বঞ্চিত করে ভুল রিপোর্ট পাঠানো হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এমন চিত্র হতে পারে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যাতে এমনটি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। আয়ূব বখত জগলুল বলেন, আমাদের তৃণমূল প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে ৫জন সাংসদ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। কিন্তু তারা জনতা ও তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
দলীয় সভাপতি হয়ে দল সমর্থিত সাধারণ প্রার্থী নিজ দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন, আমি প্রথমে নূরুল হুদা মুকুটের পক্ষে মাঠে ছিলাম। পরে কিছুদিন নিরব ছিলাম। তারপরে আবার নির্বাচনে সক্রিয় হই। কেন্দ্রের নির্দেশেই আমি মুকুটের পক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচন করেছি।