বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের নেপথ্য কারিগর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তার আন্তরিকতা ও আমাদের হাওরবাসীর প্রতি ভালোবাসার কারণে দ্রততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। তিনি চান জাতীয় উন্নয়নে অবহেলার শিকার হাওর সমতায় ফিরুক। হাওরের সাধারণ মানুষের জন্য আরো প্রকল্প তৈরি করতেও তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে সর্বত্র গুঞ্জন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় আমার বাড়ির কোণায় হোক আমি তা চাইনা। যেখানে করলে জেলার সকল মানুষ উপকৃত হবে, শিক্ষার্থীরা অবাধে কার্যক্রম চালাতে পারবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সেই উন্মুক্ত স্থানই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমন একটি স্থানই আমাদের বাছাই করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এটা স্কুলঘর নয় যত্রতত্র আবেগ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে ফেলব। সূদূরপ্রসারি চিন্তা নিয়ে আমাদেরকে স্থান খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে এমনকি বাংলাদেশেও মূল শহর থেকে দূরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যৌক্তিক কারণে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও এমন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হোক আমি চাই। তাই বলে আমার গ্রামের পাশে প্রতিষ্ঠা করব সেটা আমি চাইনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অবকঠামোর প্রশ্নেই সুনামগঞ্জ জেলা শহরের মুখ এখন দক্ষিণের দিকে। মেডিকেল কলেজও ওই দিকে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ও ওইদিকে হোক সুধীমহল আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশে দক্ষিণ দিকেই করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের খবরে তাদের অনেকেই আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তাদের আশ্বস্থ করেছি সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই সুদূরপ্রসারী চিন্তার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত পরিবেশে নির্মাণ করা হবে। যাতে আমাদের ছেলে মেয়েসহ সারাদেশের ছেলে মেয়েরা ভালো পরিবেশে ভালো স্থানে পড়ালেখা করতে পারে।