ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলায় মৃত্যূদন্ড প্রাপ্ত দীঘ ৫বছর ধরে পলাতক থাকা আসামী ছালেহ আহমদকে ঢাকা গাজীপুর বৌবাজার এলাকা থেকে ছাতক থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ১৮ মার্চ বধুবার সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম দিক নির্দ্দেশনায় ,সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ও ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ,এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম’ নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছাতক থানাধীন বাতিরকান্দি গ্রামে চাঞ্চল্যকর শিশু মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (০৭) হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ছালেহ আহমদ(২৫)কে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা রাজধানী গাজীপুর বাসন থানাধীন চান্দনা বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার নোয়ারাইর ইউপির বাতিরকান্দি গ্রামের মৃত কবির মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর পুত্র ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী জামায়াত নেতা ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জড়িত কয়েকজনকে।
সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম গত ৫ ফেরুয়ারি ২০১৯ সালে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- বাতির কান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ, একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণ জুলিয়া গ্রামের সুজন। এদের মধ্যে সালেহ আহমদ এঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। তার ৩ জন সহযোগীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে ও আসামী ছালেহ আহমদ দীর্ঘ ৫বছর ধরে পলাতক থাকায় গোপন সংবাদ পেয়েই গত বুধবার সকালে ঢাকার গাজীপুর বাসন থানাধীন চান্দনা বৌ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু ইমন হত্যার মামলার মুত্যদন্ড আসামী আসামী ছালেহ আহমদকে থেকে ছাতক থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আসামীর বিরুদ্ধে পলাতক থাকা অবস্থায় দ্রুত বিচার আদালত সিলেট দ্রুত বিচার (দায়রা) -০৪/২০১৬, জিআর-৬৫/২০১৫ (ছাতক) ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত-২০০৩) এর ৮/৩০ তৎসহ পেনাল কোড ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় উক্ত আসামীকে সহ তার সহযোগী তিনজনকে ও বিজ্ঞ আদালত গত ০৬/০২/২০১৯ ইং তারিখ মৃত্যুদন্ড (ফাসীঁর আদেশ) রায় ঘোষনা করেন।