শাল্লা প্রতিনিধি::
সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস এখন অদৃশ্য এক মৃত্যুর নাম। দেশে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভাইরাসটির আতঙ্কে রয়েছে হাওরাঞ্চলের মানুষ। এরমধ্যে বিদেশ থেকে শাল্লা উপজেলায় এসেছেন ২২জন। তারা বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১১জন। বিদেশ ফেরতের সংখ্যা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে ভিন্ন তথ্য। বিদেশ থেকে আগতদের বিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন বিদেশ থেকে এসেছেন ২২জন। তাদের মধ্যে শাল্লা গ্রামের ৪ জনের কোনো হদিস পাইতেছি না। নাম আছে বাপের নাম নেই। কেউ তাদের চিনেই না। তিনি আরো বলেন ১জন আছেন ঢাকায়, ১জন কিশোরগঞ্জে ও আরেকজন আমেরিকায় চলে গেছেন। আরো দুইজন ইন্ডিয়ায় চলে গেছেন। বাকিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গোপনে থাকা বিদেশ ফেরতদের খোঁজ চলছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন বিদেশ থেকে এসেছেন ২০জন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১১জন। তিনি আরো বলেন আমরা মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন করালগ্রাসী ভাইরাসের জন্য ছেলে মেয়েরা ঘরের বাইরে আসতে মানা করছে। সত্যি বলতে করোনা ভাইরাসের ভয়ে আমি নিজেও আতঙ্কিত। এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে হবে জনসচেতনতার মধ্যদিয়ে।