হাওর ডেস্ক::
কুমিল্লার তিতাসে অপহরণের চার দিন পর সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরের পর তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
অপহৃত মহসিন মিয়া তিতাস উপজেলার নারানদিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে। আর গ্রেপ্তারকৃত সফিকুল সুনামগঞ্জ জেলার বিসম্বপুর উপজেলার সিলডোরার গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে।
তিতাস থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১৫ মার্চ বিকেলে সফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ীক কাজের কথা বলে ব্যবসায়ী মহসিন মিয়াকে কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্ট যেতে বলে। ওইখানে যাওয়ার পর মহসিনকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। ঘটনার পরদিন ১৬ মার্চ মোবাইল ফোনে কল আসে তাকে ৫ লাখ টাকা না দিলে মেরে ফেলা হবে। বিষয়টি তিতাস থানা পুলিশকে জানিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন। পরে তিতাস থানা পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে স্থানটি নির্ধারণ করেন। বিসম্বপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিতাস থানা পুলিশের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের সীমান্ত থেকে ব্যবসায়ী মহসিনাকে উদ্ধার করেন এবং অপহরণকারী সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে তিতাস থানার ওসি তদন্ত মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জায়গাটি নির্ধারণ করি। বিসম্বপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করি। অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করি। আজ মামলা দায়ের পর তাকে কুমিল্লা জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।