স্টাফ রিপোর্টার::
বিভিন্ন পত্রিকায় ‘হাওরে এলএসডি ভাইরাস: দুই সপ্তাহে অর্ধশতাধিক গরুর মৃত্যু’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস আক্রান্ত অঞ্চল দিরাই শাল্লায় ৭০০ গবাদিপশুকে এলএসডি টিকা দিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান খানের নেতৃত্বে প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা শাল্লা উপজেলার উজানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন। খবর পেয়ে এলাকার চাষীরা তাদের হালের গরুগুলোকে এই টিকা দিয়েছেন। তাদের অনেককেই সারিবদ্ধভাবে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে পশুর চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে মারা যাওয়া গরুর মালিকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বার্তা বলে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাণী সম্পদ অফিসের সংশ্লিষ্টরা একাধিক গরু পরীক্ষা করে এলএসডি ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। এখনো অনেক গরু এই রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তারা।
গত অক্টোবর মাসে হাওরাঞ্চলে প্রথম বারের মতো দেখা দেয় এলএসডি ভাইরাস। ভারত থেকে গরু থেকে এই রোগ বাংলাদেশের গরুতে ছড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সরকারি হিসেবে ৮ হাজার ৫৫টি গরু আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তাদের হিসেবে মৃত্যুর কোন পরিসংখ্যান ছিলনা। কিন্তু এই রোগে বিভিন্ন এলাকায় গরু মারা যাবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষী ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে আক্রান্ত এলাকার গরুর মালিকদের এলএসডি ভাইরাসের টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে প্রচারণা চালানো হয়। পরে শুক্রবার সকাল থেকে প্রাণীসম্পদ বিভাগের লোকজন উজানগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া শুরু করেন। দিনভর তারা টিকাসহ নানা পরামর্শ দেন চাষীদের।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান খান বলেন, আমরা এলাকায় এসে এলএসডি ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক গরু দেখেছি। প্রায় ৭০০ গরুকে টিকা দিয়েছি। তবে যেগুলো মারা গেছে তার বেশিরভাগই ক্ষুরারোগ ও অন্যান্য রোগে মারা গেছে।