কালের কণ্ঠের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান
স্টাফ রিপোর্টার::
পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালির বিজয় পূর্ণতা পায়। সেদিন বাঙ্গালির অবিসংবাদিতে এই মহান নেতাকে জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা গ্রহণ করেছিল। যারা বঙ্গবন্ধুর ঠিক পিছনে থেকে তার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছিলেন আমার বাবা প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সকল জাতীয় নেতাকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যক ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহপ্রচার সম্পাদক আজিজুস সামাদ ডন এসব কথা বলেন। তিনি কালের কণ্ঠ পত্রিকার সংশ্লিষ্টদের দেশ ও মানুষের পক্ষের অবস্থানকে অভিনন্দ জানিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক এই দিনে আতœ প্রকাশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠনে যে সংবাদপত্রটি বিশেষভাবে কাজ করছে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ তার মধ্যে অন্যতম প্রধান পত্রিকা। পত্রিকাটি আমাদের তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করছে।
সুনামগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের জেলা সভাপতি কল্লোল তালুকদার চপলের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রতিনিধি শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল। বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি নারীনেত্রী কমরেড শীলা রায়।
আয়ূব বখত জগলুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কালের কণ্ঠ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। তারা আমাদের সমাজ পরিবর্তনের পিছনের মানুষদের তুলে ধরে অন্যদের ভালোকাজে অনুপ্রাণিত করছে। আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানাই।
নারী নেত্রী শীলা রায় বলেন, কালের কণ্ঠ শুরু থেকে সবধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে। নারী নিপীড়ণ ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রপথিক হিসেবে কাজ করছে। শুধু কেন্দই নয় সারাদেশের তৃণমূলে নেতৃত্বদানকারী নারীদের নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করে তাদের মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে। পত্রিকাটি এসব কারণেই সারা দেশের সবশ্রেণির পাঠকদের প্রিয় একটি পত্রিকা হতে পেরেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসদের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক আবু সুফিয়ান, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেনরায়, কবি ও গবেষক ইকবাল কাগজী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক পঙ্কজ দে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিম, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডাচবাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার জ্যোতিয়াল গোস্বামী, সংস্কৃতিকর্মী হিরন্ময় রায়, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিনিধি খলিল রহমান, সদর হাসপাতালের ওসিসি কর্মকর্তা সৈয়দা শাহনাজ মঞ্জুর ইভা, দৈনিক আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, জাসদের সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, সাংবাদিক মাসুক মিয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাক ও নিউজটুয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিনিধি জাকির হোসেন, এনটিভির প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর প্রতিনিধি এ আর জুয়েল, সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, বাংলানিউজের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান পীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মাসুক আহমদ, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রইসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী নূরজাহান বেগম, সংস্কৃতিকর্মী মানবেন্দ্র কর, মামুন, রাজন প্রমুখ।
আলোচকক বৃন্দ কালের কণ্ঠের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর সকল কলাকুশলিদের অভিনন্দন জানিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।