হাওর ডেস্ক::
বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে সিলেট বিভাগসহ চারটি বিভাগের ৩০ হাজার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিপাটি করা হচ্ছে। রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর—এই চার বিভাগের এসব বিদ্যালয়ের পরিপাটির কাজ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্স বা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকায় দরজা-জানালার ফিটিংস, কাচ, হাতল, লক, ফ্যানের সুইচ, রেগুলেটর, লাইট, বোর্ড মেরামত ও পুনঃস্থাপন করা যাবে। সাইড ওয়ালের টাইলস মেরামত, ড্রেন পরিষ্কার, বৃষ্টির পানি নির্গমন পাইপ মেরামত ও স্থাপন করা যাবে। ভবনের দেয়াল, মেঝে, ছাদে বা ভবনের গায়ে জন্ম নেওয়া আগাছা অপসারণ করতে হবে। পানির কল মেরামত ও স্থাপন, পানি সরবরাহ লাইন মেরামত-স্থাপন ও পরিষ্কার করতে হবে। বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক পরিষ্কার, টয়লেট মেরামত এবং চাহিদা অনুযায়ী দৈনিক ছোটখাটো মেরামতের কাজও করতে হবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী মেরামত কাজ করা যাবে এই অর্থ দিয়ে।
এ ছাড়া পিইডিপি-৪ আওতায় এই চার বিভাগের আরও ৯ হাজার ৮৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোটখাটো মেরামত কাজের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ ব্যয় করতে হবে দরজা, জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট ইত্যাদি মেরামতের কাজে। ছাদের আস্তর ও সিলিং মেরামত, ভবনের দেয়াল, কলাম, বিমের ফাটল মেরামত, বিদ্যালয় ভবনের দরজা-জানলা রং করা, টাইলস, সিলিং ও গেট মেরামত কাজে ব্যয় করা যাবে এ টাকায়। এ ছাড়া ড্রেনেজ সিস্টেম মেরামত, ব্ল্যাকবোর্ড প্লাস্টার ও রং করা, টিউবওয়েল, টয়লেটের পাইপ, বেসিন, কমোড, প্যান ইত্যাদি মেরামত করা যাবে। বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করাসহ প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনও মেরামত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া চাহিদাভিত্তিক মেরামত কাজে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘২০ হাজার ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকা ব্যয় করা হবে শুধু পরিপাটির জন্য। এছাড়া ৯ হাজার ৮৫১টি বিদ্যালয়ের প্রতিটিকে ছোটখাটো মেরামতের জন্য ২ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ পরিপাটির কাজ ও মেরামত শেষে বিদ্যালয়ের পরিবেশ শিশুদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
(সৌজন্যে বাংলা ট্রিবিউন)