হাওর ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্রাণ বন্টনে অনিয়ম-দুর্নীতি হলে ছাড় নয়। আমি কাউকে ছাড় দিব না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে মঙ্গলবার সকালে ৬৪টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টায় এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামনে আরেকটি ধাক্কা লাগবে। তা হলো বিশ্ব মন্দা। আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। সংকট আছে, আমাদের মানুষও আছে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তায় আমাদের ছুটি বাড়াতে হতে পারে। আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত আকারে বাড়াতে হবে। এসময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যারা শ্রমিক শ্রেণি আছেন, তারা যেন কষ্ট না পায় তা দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরবরাহ চালু থাকবে, যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেউ যেন কষ্ট না পায়। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন দাম না বাড়ায়। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, নানা রকম গুজব রটে। ডিজিটাল বাংলাদেশেও অনেক রকমের গুজব ছড়ায়। মিথ্যা অপপ্রচার করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজবে কান দেবেন না। গুজব নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ আমরা উৎসাহের সঙ্গে পালন করি। কিন্তু এবার চিত্র আলাদা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পারেন। বিশাল জনসমাগম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে কবে। এটা আমার অনুরোধ।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।