বিশেষ প্রতিনিধি::
করোনাভাইরাস সংক্রম প্রতিরোধে হতদরিদ্র মানুষের অসহায় বন্দিজীবনে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১০ টাকা মূল্যের চাল কালো বাজারে বিক্রির সময় জেলা জাতীয় পার্টি নেতাসহ দু’জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার নিয়ামতপুর থেকে তাদের আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকার সম্প্রতি করোনা মোকাবেলায় গ্রামের অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য ১০ টাকা কেজির চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এই চাল ডিলারের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট পয়েন্টে বিক্রি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য ও গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রাপ্ত মো. শওকত আলী ও তার সহযোগী বিপ্লব সরকার সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিল। স্থানীয়রা এই খবর গোয়েন্দা পুলিশকে দিলে গোয়েন্দা পুলিশের দল নিয়ামতপুর ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতেনাতে ৩০ বস্তা চালসহ শওকত ও তার সহযোগীকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য শওকত মিয়া একজন বিতর্কিত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি এর আগে কিশোরী ধর্ষন মামলায় আসামি হয়েছিলেন। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে সরকারের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি কাজী মোক্তাদীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনার সময়ে দুস্থদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে যে চাল তৃণমূলে বরাদ্দ দিয়েছেন তা কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিল দু’জন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে সত্যতা পেয়ে তাদের আটক করে নিয়ে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছেন।