1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

নারায়ণগঞ্জের আলোকিত সাত খুন: জবানবন্দিতে যা বললেন তারেক সাঈদ

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭, ৫.১১ পিএম
  • ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। বহুল আলোচিত এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে যেসব আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য র‌্যাবের চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা। এ তিনজনই মূলত সাত খুনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জড়িত।

সাত খুন নিয়ে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ তিনজন কী বলেছিলেন, তা নিয়ে মিডিয়ার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এ পর্বে রয়েছে তারেক সাঈদের জবানবন্দি।

২০১৪ সালের ১৮ জুন তারেকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালতে দেওয়া তারেকের জবানবন্দির উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো:

২০১৪ সালের মার্চে র‌্যাবের অধিনায়কদের মাসিক সম্মেলনের শেষে কর্নেল জিয়া আমাকে একটি তালিকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওই তালিকায় বিভিন্ন মামলার আসামি নজরুলের নাম বিশেষভাবে চিহ্নিত ছিল। অধিনায়কদের সম্মেলনের পরদিন র‌্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডারদের সম্মেলনে আমি নজরুলকে গ্রেফতারের জন্য মেজর আরিফকে নির্দেশ দেই। ওই সম্মেলনে আমি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানাকে, নজরুলকে গ্রেফতারের বিষয়ে মেজর আরিফকে সাহায্য করতে বলি।

২৭ এপ্রিল মেজর আরিফ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার নজরুল আজকে কোর্টে আসবে, তাকে আজ গ্রেফতার করা যাবে। তখন আমি নজরুলকে গ্রেফতারের জন্য আরিফকে অনুমতি দেই। ওই দিন আনুমানিক দুপুর ২টার সময় মেজর আরিফ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার টার্গেট এর সঙ্গে ৪ জন আছে।

রাত ৮ টায় আমি নজরুলের স্ত্রী ও শ্বশুরের জন্য আমার অফিসে অপেক্ষা করছিলাম। তখন মেজর আরিফ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার আমার লোক বদলি করতে হবে, আপনি একটা গাড়ি দেন। আমি আরিফকে নরসিংদীর ক্যাম্পে বিশ্রাম নিয়ে একবারেই নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পে ফিরতে বলি। আরিফ জানান যে তিনি নরসিংদীর ক্যাম্পে নাই। নরসিংদীর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সুরুজ তাকে না বলায় তিনি ক্যাম্প থেকে বের হয়ে গেছেন। তখন আমি আরিফকে জিজ্ঞেস করি, তুমি, তোমার লোকজন কোথায়? খাওয়া-দাওয়া করেছো? আরিফ আমাকে জানান, স্যার, আমি আমার লোকজনদের খাওয়াইছি। আসামিরা এখন ঘুমাচ্ছে, আমি আমার লোকজনদের খাওয়ানোর জন্য সুরুজ স্যারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।

রাত ৮টার পর থেকে রাত ৯টার আগ পর্যন্ত আমি নজরুলের স্ত্রী, শ্বশুর ও নজরুলের আরো ১০/১২ জন লোকের সঙ্গে মিটিং করি। ওই সময় নজরুলের শ্বশুর ও স্ত্রী বলেন, নূর হোসেন, নজরুলকে অপহরণ করেছে। নূর হোসেনকে গ্রেফতার করলেই নজরুলকে পাওয়া যাবে। রাত ৯টার দিকে আরিফ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার রাস্তায় পুলিশের কড়া চেকিং চলছে। আমি সিভিল গাড়ি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আসলে চেকিংয়ে পড়বো। তাই আমার ক্যাম্পে ফেরার জন্য নৌকা দরকার। তখন আমি আরিফকে বলি, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানার সঙ্গে কথা বলে তুমি সব ঠিক করে নাও। এরপর আমি রানা আর আরিফের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সমন্বয় করে নিতে বলি।

রাত সোয়া ১১টায় আরিফ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার, আমি কাঁচপুর পৌঁছে গেছি। তখন আমি বলি, ঠিক আছে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমি নৌকাঘাটে পৌঁছাই। আমি পৌঁছানোর ২০/২৫ মিনিট পর মেজর আরিফও নৌকাঘাটে পৌঁছান।

এরপর আমি আরিফকে তার লোকজনসহ আসামিদের নিয়ে গাড়িতে উঠাতে বলি এবং র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে যেতে বলি। আরিফ বলেন, স্যার, আসামিদের মেরে ফেলেছি। তখন আমি আরিফকে বলি, মেরে ফেলেছো, মানে! কেন মেরেছো? আরিফ বলেন, নজরুল আমাকে চিনে ফেলেছে, তাই আমি নজরুলকে মেরেছি। অন্যরা দেখে ফেলেছে, তাই ভয়ে তাদেরকেও মেরে ফেলেছি। আরিফ জানায়, সে মোট সাত জনকে মেরেছে। তখন আমি বলি, সাত জন মানে? তুমি তো গ্রেফতার করেছো পাঁচ জনকে, আর দু’জনকে কোথায় পেলে?

আরিফ আমাকে বলেন, স্যার, আমার গাড়িতে পাঁচ জন ছিলো। ওই পাঁচ জনের বিষয়ে আমি আপনাকে রিপোর্ট দিয়েছি। পেছনে আর একটি গাড়িতে রানা স্যার দু’জনকে পাঠিয়েছেন। এই দু’জনের বিষয়ে আপনাকে জানানো হয়নি। ভেবেছিলাম ক্যাম্পে এসে জানাবো। এই কথা শুনে আমি আরিফের সৈনিকদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। তখন আমি নিচে নেমে সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করি যে কোনও সমস্যা নাই।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!