বিশেষ প্রতিনিধি, দিরাই::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার লোকদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৮জন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাজুল ইসলাম নামের একজন এবং বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহারুল ও উজ্জ্বল নামে আরো দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের বিশেষ টিম।
জানা গেছে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোরামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও ইজারাদার পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক মিয়া ও এয়াহিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিয়া গ্রামের ছান উল্যার ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫) ঘটনাস্থলে, আকিল নগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহরুল (২৮) ও আমান উল্লার ছেলে উজ্জল (২৫) আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা একরার বাহিনীর লোকজন একরারের নেতৃত্বে জারলিয়া জলহাল দখল করতে গেলে ইজারাদার দক্ষিন নাগেরগাও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাসের পক্ষের আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক মিয়া ও এয়াহিয়া চৌধুরীরর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এলোপাতারি গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলাম নিহত হন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন দুই পক্ষের লোকজনই বন্দুক ব্যবহার করেছে। এতে তিনজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের ধরতে অভিযান চলছে।