হাওর ডেস্ক ::
দেশের হাওর এলাকার ৭ জেলায় বোরো ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময় উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা হাওর এলাকায় ধান কাটার জন্য যেতে শুরু করবেন। ধান কাটার শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওর এলাকায় আগমণ ও চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, হাওর এলাকায় ধান কাটা ও চলাচলকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজের, কৃষকের ও শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য ফসল চাষ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সব কৃষিযন্ত্র ও খুচরা যন্ত্রাংশ, কৃষিকাজে ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজেল দেশের সর্বত্র পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে হাওর এলাকায় ধান কাটাসহ সারাদেশে কৃষি উৎপাদন ও বিপণন অব্যাহত রাখতে বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে মাঠ পর্যায়ে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও অনুসরণ করতে বলেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, সারাদেশে এবছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগের যোগান দেয় হাওরাঞ্চলের বোরো ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব মতে এবার হাওরের সাত জেলায় (কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়) বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে এবং শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। হাওরাঞ্চলে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টন। সূত্র : সারাবাংলা.নেট