অদৃশ্য করোনার হিংস্র ছুবলে মানুষ আজ অসহায়। মৃত্যুর মিছিলে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। প্রাণের মায়ায় মানুষ আজ গৃহবন্দী। মানুষের মধ্যে নেই জীবনযাত্রার স্বাভাবিকতা। গৃহবন্দী মানুষের খাবার যোগান দিতে সরকারের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। অনেকে নিজ উদ্যোগে সামর্থ্যানুযায়ী খাবার বিতরণ করছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সচেতন করছেন।
ডাক্তার প্রশাসনের কর্মকর্তা পুলিশ র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের সেবায়। অগোছালো চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডাক্তাররা হিমসিম খাচ্ছেন। তবুও সেবা দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সবকিছু মনিটরিং করছেন। কিন্তু কিছু অসৎ তেলবাজ জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অসৎ কাজের জন্য খুব লজ্জা লাগে। ভিডিও কনফারেন্সে করোনার পরিস্থিতি ও জনগণের চাহিদার কথা না বলে জনপ্রতিনিধিরা যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তেল মর্দন করেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেন তখন খুব লজ্জা লাগে। ঘৃণা হয়।
করোনার মতো ভয়ংকর মহামারী চাল চুরি ঠেকাতে পারেনি।
সাংসদরা মহান জাতীয় সংসদে গলাবাজি করে নিজেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার চেষ্টা করেন। আজকের দুর্দিনেও গলাবাজি কমলো না। জঘন্য রাজনীতিবীদদের প্রতি জনগণের আস্থা ভরসা তো দূরের কথা ঘৃণা আর অভিশাপের বিষ ও মানুষের চরম শত্রু হবে হিসেবে রূপ নিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য নাম ছিলো সুলতান মুহাম্মদ মনসুর। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ডাকসু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মতো দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার ফোনালাপের রেকর্ডে যে বিশ্রী কথা শুনতে পেলাম তাতে অন্যান্য সাংসদ সম্পর্কে জনগণের ঘৃন্য ধারণা আসা অস্বাভাবিক কিছু না। আজকের এই দুর্দিনে একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এরকম নোংরা কথা শোনা জাতির জন্য কলঙ্কের। রাজনীতিবীদদের জন্য কলঙ্কের।
দলীয় পরিচয়ে ডিলারশীপের লাইসেন্স নিয়ে কিছু কুলাঙ্গার চাল চুরির উৎসবে নেমেছে। মেম্বার চেয়ারম্যানরা সরকারি ত্রাণ নিজের গোদামে মজুদ করছে। অভুক্ত অসহায় মানুষকে ত্রাণ দেয়ার নামে ফটোসেশানে ব্যবহার করছে।কোনো ভয় নেই সৃষ্টিকর্তা নিয়ে। মায়া নেই মানুষের প্রতি। কীটপতঙ্গের দল মানুষের সুসময়ে আত্মসাৎ করতে করতে মহামারীতেও হরিলুটের বাজার জমজমাট করে ফেলছে। একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া উঁচু চেয়ারের অধিপতিরা কোনো গুরুত্ব দেয়না।অবেলায় গুণকীর্তন গাওয়া এমপি মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সব ঠিক আছে সব ঠিক আছে বলেই তেল মর্দন করছেন। ১৫/২০ টাকার মাস্ক বিতরণ করে বড় বড় নিউজ করছেন। মানুষের সেবার নামে নিজের প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
আজ ডাক্তার জনপ্রশাসন পুলিশ প্রশাসন সেনাবাহিনী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সকল পেশাজীবিদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা শ্রদ্ধা অনেকটা বেড়ে গেছে। জীবনের মায়া সবারই আছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে তারা সেবা দিচ্ছেন জাতিকে। অপরদিকে তেলবাজ কুলাঙ্গার চুর বাটপার রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিদের ভয়ঙ্কর আচরণে মানুষের আস্থা কমছে রাজনীতিবীদদের উপর। করোনায় পৃথিবী থেকে সকল অপশক্তির ধ্বংস হবে। পৃথিবী সংস্কার হবে। নেতৃত্ব সুন্দর হবে। নতুন রূপে আবির্ভূত হবে এই ভূমন্ডল। বেঁচে থাকুক সকল মানুষেরা। ধ্বংস হোক মানুষ নামের সকল কুলাঙ্গার। মানব শত্রু। প্রকৃতির শত্রু। পৃথিবীর নতুন রূপের অপেক্ষায় আছি। নতুন পৃথিবী দেখবো যদি বেঁচে থাকি।
(মতামত লেখকের একান্ত)