দিরাই প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পুর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার ও আজ শুক্রবার উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে তিন দফায় সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা খেলা রানী দাস, তার ভাসুর পুত্র যোগল দাস, সম্রাট দাস, অপর পক্ষের প্রদীপ দাস, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, গীরেন্দ্র বিশ্বাস, বিজয়া বিশ্বাস। এঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন দুই পক্ষ। আহত শিক্ষিকা খেলা রানী দাসের জামাতা সন্দীপ কান্তি দাস জানান, গ্রামের লোকজন আমার সমন্দি হিমাংশু দাসের রেকর্ডীয় জায়গায় শ্মশান স্থাপনের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ তারা হামলা চালিয়ে আমার শাশুড়ীসহ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। তবে গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সোমবার গোপালপুর গ্রামের অমরচাঁদ দাস ও তার লোকজন একই গ্রামের গীরেন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বিজয়া বিশ্বাসের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত করে এবং দুটি ফলদ গাছ কেটে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আহত প্রদীপ দাস ও গ্রামের কিছু যুবক। এরই জের ধরে শুক্রবার সকালের দিকে ইজিবাইক চালক প্রদীপ দাসকে পথরোধ করে মারধর করে অমরচাঁদ দাসের লোকজন। তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আধঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। গীরেন্দ্র দাসের প্রতিবেশী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বিধান চন্দ্র দাস বলেন, শ্মশান নিয়ে বিরোধ এটি ঠিক নয়, সরকারি ভূমিতে পুর্ব পুরুষের আমল থেকে এই শ্মশান। কিছু জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। গত সোমবার (৬ এপ্রিল) গ্রামের নিরীহ ব্যক্তি গীরেন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রীকে মারধর করে একপক্ষ। এই নিয়েই আজকের ঘটনা। গ্রামের পান্ডব দাস ও প্রতাপ দাস বলেন, নিরীহ গীরেন্দ্র দাসের উপর হামলার প্রতিবাদ করায়, আজ অমরচাঁদ ও তার লোকেরা আবারও প্রতিবাদকারী প্রদীপ দাসকে মারধর করে। এরই জের ধরে দুপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। গীরেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অমর চাঁদ ও তার লোকজন গত সোমবার আমার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমি ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে, আমার দুটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমি থানায় গেলে থানার লোকজন করোনা পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধা করার পরামর্শ দেন। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা। শ্মশানের জায়গা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুর্যকান্ত দাস বলেন, দীরেন্দ্র দাসকে নির্যাতন করাকে কেন্দ্র করে গ্রামের যুবকদের সাথে ঘটনার সূত্রপাত। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমিসহ গ্রামের পঞ্চায়েতীগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করি।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল বলেন, এবিষয়ে কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।