হাওর ডেস্ক ::
খোদ কৃষি মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এটা নিয়ে খুব টেনশনে আছি। কারণ সময় মতো তা করা না হলে আমাদের বিপর্যয় হবে। এর জন্য সরকারী বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে যাতে শ্রমিকরা ধান কাটতে পারেন তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৯ এপ্রিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি নোটিসে হাওর এলাকায় ধান কাটা ও চলাচলকালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিজের এবং কৃষকের ও শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়।
এ অঞ্চলে ধান কাটতে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে বেশির ভাগ শ্রমিক হাওরে কাজ করেন। কিন্তু সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর তাদের অনেকেই এখন নিজ নিজ গ্রামে চলে গেছেন। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এসব এলাকার জেলা প্রশাসক এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তারা শ্রমিকদের পর্যবেক্ষণ করবেন।
বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে এবার হাওরের ৭ জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতেবোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হাওরেই হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। অধিদপ্তরের হিসাব মতে, এবার হাওর অঞ্চলে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। আর এ বছর সারাদেশে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগ জোগান দেয় হাওর অঞ্চলের বোরো ধান। সূত্র : আমাদের সময়.কম