স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় করোনাকালে অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষদের ত্রাণ নিয়ে যাতে কোন অনিয়ম না হয় এবং তালিকায় অসচ্ছতা না থাকে সেদিকে নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়ে তাদেররকে সরকারি অনুদান বণ্ঠনে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ নিয়ে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, এবং অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া গত শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি এই নির্দেশনার আলোকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সরকারি বরাদ্দ যাতে নয়ছয় না হয় সেদিকে শুরু থেকেই কঠোর বার্তা দিয়ে রেখেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল। কেই ত্রাণ বণ্ঠনে অনিয়, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায়, শ্রমজীবী ও নি¤œআয়ের মানুষদের সহযোগিতায় প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে দুই দফা ত্রাণও দিয়েছেন। আমাদের সদর উপজেলায় যাতে এসব ত্রাণ স্বচ্ছভাবে বণ্ঠন হয়, কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম না হয় সেজন্য আমরা ইউপি চেয়ারম্যানদের কঠোর বার্তা দিয়ে রেখেছি। তাদের পিছনে লোক লাগিয়ে রেখেছি যাতে কেউ অনিয়ন ও দুর্নীতি না করতে পারে। তিনি বলেন, সরকারের কোন বরাদ্দ আমার উপজেলায় নয়ছয় হতে দেবনা। যারা দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ত্রাণের স্বচ্ছতা ও প্রকৃত মানুষদের কাছে পৌছাতে আমি আর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পরিষদের সবাই কাজ করছি।