দিরাই প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জলমহালের দখল নিয়ে মৎস্যজীবিদের সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে নিরীহ তিনজনের প্রানহানির ঘটনায় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে দিরাই উপজেলা আওয়া মীলীগ ও অংগ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার সন্ধায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্তিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদার।
সংবাদ সম্মেলন শেষে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর সদরের সবকটি সড়ক প্রদক্ষিন করে থানা পয়েন্টে এসে পথসভায় মিলিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট অভিরাম তালুকদারের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি সিরাজ উদদৌলা তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা মজর উদ্দিন মিয়া, মাজু মিয়া, মতিউর রহমান মতি, মোশাহিদ মিয়া, সরবিন্দু দাস, প্যানেল মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, পৌর কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ, মফিজুর রহমান জুয়েল, সবুজ মিয়া, সুয়েল চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ, রেজুয়ান খান, যুবলীগ নেতা আব্দুল হক মিয়া, কলিম উদ্দিন, লালন মিয়া, মোহন চৌধুরী, জুয়েল মিয়া, হাসান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সায়েল চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন গত ১৭ জানুয়ারী হাওর জনপদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনী¡ একটি শশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ঘোড়ামার সাতপাকিয়া জলমহাল দখল করতে গেলে মৎস্যজীবিদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিরীহ তিনজন লোকের প্রাণহানি হয়। এ প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে দিরাই থানায় উপজেলা আওয়া মীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ রায়, পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। অথচ এ ঘটনার সাথে তাদের আদৌও কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার দিন প্রদীপ রায় ঢাকায়, মেয়র পৌর অফিসে ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ কার্যলয়ে অফিসিয়াল কাজে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের মিটিংয়ে ছিলেন। উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সে মামলা বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছে। সিলেটের ছাত্রদল ক্যাডার একাধিক ছিনতাই মামলার আসামী বদরুল আজাদ রানা ২০১৪ সালে ছিনতাই মামলায় জেল খেটেছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে এ ষড়যন্ত্রমূল মামলা থেকে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।