হাওর ডেস্ক::
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে বরখাস্ত করা ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা। শুধু তাই নয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়াকালে শিবির কর্মী ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, রোস্টার মেনে দায়িত্ব পালনের পরও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে চিকিৎসকদের। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ড্যাবের নেতা ও শিবির কর্মী ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের তত্বাবধায়ক হিসেবে ৬ চিকিৎসককে বরখাস্ত করেন। যাদের বরখাস্ত করেন তারা করোনাভাইরাসে রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা রিপোর্ট করে বরখাস্ত করান।
ছবির শুটিংয়ের বাজেটে ডাক্তারদের দেওয়া হলো পিপিই
চিকিৎসা দেয়নি মন্ত্রীর মালিকানাধীন এনাম মেডিকেল, প্রকৌশলীর মৃত্যু
বসুন্ধরার করোনা হাসপাতালের কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে
ডা. সেহাবের অতীতও বিতর্কিত। নানা কেলেঙ্কারিতে তাকে জেলও খাটতে হয়েছে।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নার্সরা অভিযোগ করেছেন তারা খাবার পাচ্ছেন না। এদিকে এ হাসপাতালে রোববার পরিচালক পদে ডা. সারওয়ার উল আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তত্বাবধায়ক সহকারী পরিচালক পদমর্যাদায় এতোদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে চিঠি দিয়ে জানান যে, এই ছয় চিকিৎসক কভিড-১৯ কেন্দ্রে সেবা প্রদান করছেন না। এছাড়া চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চর্তু শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদায়ন হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই যোগদান করেননি বলেও চিঠিতে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি আদেশে সংশ্লিষ্ট ৬ চিকিৎসককে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকরা হলেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. হীরম্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা হাসানাত, মেডিকেল অফিসার ডা. ঊর্মি পারভীন ও মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার উল্লাহ। এ ছাড়া জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. শারমিন হোসেন ও আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সৌজন্যে: পূর্বপশ্চিমবিডি।