করোনার থাবা শুরু হয়েছে।এতদিন অামাদের দেশে নিরীহ ছিল।ধীরে ধীরে অাগ্রাসী হচ্ছে।অাক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।মৃত্যু বাড়ছে।চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মিরা অাক্রান্ত হচ্ছেন।গতকাল সকালে মৃত্যু হয়েছে সিলেট ওসমানীর সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মঈন এর।সুনামগগঞ্জের ছাতকের সন্তান মঈনের মৃত্যুতে সিলেট এবং তার এলাকার মানুষেরা শোকার্ত।
বিকেলে অাক্রান্ত হয়েছেন সুনামগঞ্জের গরীবের ডাক্তার খ্যাত জনপ্রিয় মানুষ ডাঃ গৌতম রায়।তিনি নারায়নগঞ্জ ৩০০শয্যা হাসপাতালে উপ পরিচালক পদে দায়িত্বে অাছেন।সেখানে তিনি সহ কর্মরত ১৪জন করোনা অাক্রান্ত।গতকাল তার কভিড -১৯ পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে।সুনামগঞ্জের মানুষের ভালবাসার ধন ডাঃ গৌতম।তার অাক্রান্তের সংবাদে সুনামগঞ্জের সমস্ত মানুষ কষ্টে অাছেন।ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করছে।গতকাল রাতে কথা হয় ডাঃগৌতম দা এর সাথে।হয়ত অনেকের সাথেই তার কথা হয়েছে।ভদ্র-বিনয়ী মানুষটি নিজে অাক্রান্ত হয়েও প্রথমেই জানতে চান অামরা কেমন অাছি।দাদা বললেন, তিনি ভাল অাছেন।অামি বললাম সুনামগঞ্জের মানুষেরা সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে অাপনার জন্য প্রার্থনা করছে।মানুষের এত নিখাদ প্রার্থনা অার মনের গহীন থেকে অাকুতি ব্যার্থ হতে পারেনা।মানুষের প্রার্থনায় অাপনি সুস্থ থাকবেন।
যারা অামাদের যুদ্ধা সেসব ডাক্তার এবং চিকিৎসা কর্মিরা করোনার প্রথম থাবায় অাক্রান্ত হলে মানুষের কি হবে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন।জীবন এবং খাদ্য নিরাপত্তার।তবে দুঃখজনক হল অামাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। অনেক অাগ থেকে তারা ভয়াবহ দুর্নীতির কারনে অালোচিত হতেই থাকল।এমন সব দুর্নীতির সংবাদ মিডিয়াতে অাসলো সারাদেশ হতবাক হয়ে গেল।পর্দার দাম ৩৭লক্ষ হল।
এবার করোনা মোকাবেলায় অাবারো প্রমাণ হল তাদের প্রস্তুতিতে কত অবহেলা ছিল।প্রধানমন্ত্রীকে এখন সামাল দিতে হচ্ছে।
সবাইকে অাবারো বলি বেঁচে থাকার উত্তম উপায় ঘরে থাকুন।স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।বিভ্রান্ত হবেননা।
(লেখাটি এমপি পীর মিসবাহ মহোদয়ের টাম লাইন থেকে নেওয়া)।