হাওর ডেস্ক ::
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের।
বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ভাইরাসটি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ার মধ্যেই কোনো কোনো দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। আবার অনেক দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সত্যিকারের বিস্তার ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষারও অভাব ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে। সংক্রমণের আনুষ্ঠানিক যে হিসাব প্রকাশ করা হচ্ছে, সত্যিকারের সংখ্যা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু সংক্রমণে লক্ষণ প্রকাশিত হয়নি, এমন অনেকেই রয়ে গেছেন পরীক্ষার আড়ালে। ফলে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখের অনেক বেশিই হবেন।
এ্ই মহামারী সামলাতে বেসামাল বিশ্ববাসীর জন্য এই দুটি হতাশার তথ্যের সঙ্গে ইতিবাচক একটি তথ্যও এসেছে। তা হল আক্রান্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মানবদেহে ধরা পড়ে। খুব দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা।
নোভেল ভাইরাসের নামকরণের পর এতে সৃষ্ট রোগের নাম দেয়া হয় কোভিড-১৯।
চীনে প্রথম মৃত্যুর দুদিন পর গত ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর জানা গেল রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে গেছে এই ভাইরাস।
তারপর হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা, দেড় মাসের মধ্যে এন্টার্কটিকা বাদে সব মহাদেশেই ধরা পড়ে রোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তখন এই পরিস্থিতিকে মহামারী আখ্যায়িত করে।
চীন সামলে উঠতে পারলেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে ইউরোপে, স্পেন ও ইতালি রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।