হাওর ডেস্ক ::
আগামী ৩ মে পর্যন্ত ভারতজুড়ে লকডাউন চলবে। তবে এর মধ্যেই বিরাট আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি। খবরে বলা হয়েছে, একটি অভ্যন্তরীণ সরকারি মূল্যায়ন থেকে জানা গেছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে। তবে এরপরেই ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ কমবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, দেখা গেছে যেসব দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথম থেকেই পুরোপুরি লকডাউন জারি করেছে তারা ভালো ফল পেয়েছে। ভারতও ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। তাতে দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা সংক্রমিতের দ্রুতগতিতে বৃদ্ধিতে অনেকটাই রাশ টানা গেছে।
দেশের মধ্যেও দেখা গেছে, যে রাজ্যগুলো করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শুনেই আগেভাগে লকডাউনের পথে হেঁটেছে তারা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব এবং বিহার এই ৩টি রাজ্যই প্রথম থেকে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল। তাই দেখা গেছে, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলোর তুলনায় ওই রাজ্যগুলো অনেকটাই ভাল অবস্থানে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধিকে থামাতে আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করার দিকে জোর দিচ্ছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট বা করোনা সংক্রান্ত অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই এখন আর দেরি না করে তাদের সবারই পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তার মতে, আগামী কয়েকদিন দেশে আরও বেশি করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবে। তিনি বলেন, সংখ্যাটা আরও বাড়বে যেহেতু আমরা আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করব। পাশাপাশি করোনার লক্ষণ যাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগেই কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৭, এর মধ্যে গত২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। দেশটিতে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ১৩ হাজার ৩৮৭ জন, আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারেরও বেশি। এছাড়া গত কয়েকদিনে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার।