শাল্লা প্রতিনিধি::
শাল্লায় বোরো ফসল ঘরে তোলার জন্য হাওরে নেমে পড়েছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘরে বসে নেই নারীরাও।সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পুরুষের পাশাপাশি তারাও আজ মাঠে কাজ করছেন। অনেকই ভয়ে আধাপাক ধান কাটতে শুরু করেছেন। শুক্রবার উপজেলার ছায়ার হাওরে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ৪র্থ শ্রেণির অভি দাস ৭ম শ্রেণির সজিব দাস, ২য় শ্রেণির রাজন মিয়া ৬ষ্ঠ শ্রণির সৈকত দাস, ৮ম শ্রেণির ধ্রুব তালুকদারসহ অনেকই জানায় শ্রমিক কম থাকায় তারা ধান কাটতে এসেছে। তারা সবাই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। ৯ম শ্রেণির দীপক পাল, ১০ শ্রেণির সাগর দাস, অনন্ত দাস ও পলাশ দাস সবাই মিলে ধান কাটছে।
অনার্স পড়ুয়া প্রণব তালুকদার বলেন এলাকায় শ্রমিক কম। তাই কৃষকদের উপকারের কথা মাথায় রেখেই তারা ধান কাটতে নেমে পড়েছে হাওরে। তাতে আমারদের বাড়তি আয় তো আছেই। একারণেই দলগতভাবে কাজ করছি। তবে দূরত্ব বজায় রেখেই ধান কাটছেন বলে জানান প্রণব তালুকদার। অনার্স পড়া শেষ মিঠু দাসের। তিনি বলেন বাবাকে সহযোগীতা করার জন্যই আমিও ধান কাটছি। এবছর সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমির ধান নষ্ট গেছে। কৃষক মহাদেব দাস বলেন বৃষ্টির অভাবে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। কেয়ারে ৫-৬মণ ধান হতে পারে বলে তিনি জানান। এমন অবস্থা অনেক কৃষকেরই হয়েছে। আবার অনেক জমিতে ভালো ফলনও হয়েছে বলে জানা অনেকই।
অবশ্য এখনো ধান কাটার ধুম পড়েনি। আটাইশ, লালডিঙ্গি, হীরা ও কৃষিবিদ জাতের ধান কিছু কিছু জায়গায় কর্তন করতে দেখা যায় ছায়ার হাওরে। কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান সবে মাত্র ধান পাকতে শুরু করেছে। এরমধ্যে যেসব জমি আগে রোপন করা হয়েছে, সেসব জমির ধানই কাটা হচ্ছে। আনন্দপুর গ্রামের প্রজেশ দাস বলেন আমার জনকরাজ ধানটি ৭০ভাগ পেকেছে। কিন্তু আমি এখনই কাটতে শুরু করেছি আবহাওয়ার গতি দেখে। অলক চক্রবর্তী বলেন আমার ধান অর্ধেক পাকছে। আমি কাইট্যালাইছি ভয়ে। কোন্ সময় কি হয় বলা যায় না। এরলাইগ্যা
কাইট্যালাইছি। অনেক কৃষককেই এমন বৈরি আবহাওয়া দেখে আধাপাকা ধান কাটতে দেখা যায়।
উল্লেখ উপজেলায় এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমি।