বিশেষ প্রতিনিধি::
করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন সুনামগঞ্জ কর্ণিকার মুক্ত স্কাউটস গ্রুপের সদস্যরা ।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ১০টা থেকে দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ কর্ণিকার মুক্ত স্কাউটস গ্রুপ’র উদ্যোগে সুনামগঞ্জ শহরতলীর বুরিস্থলের পাশে দেখার হাওরে দরিদ্র কৃষক ফারুখ মিয়ার ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
জেলা রোভার এর সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি দুর্জয় দত্ত পুরকায়স্থ, এস এ তাহের আলী, রোভার মেট অমিত দাস গুপ্ত, মোঃ লুৎফুর রহমান লাবিব, ইয়াছির আহমেদ জাওয়াদ, অভিজিৎ পাল, মোঃ সানোয়ার আহমেদ, মোঃ সাজিদুর রহমান সাজু, মারুফ আল মারজান, ছাদিকুর রহমান সহ ১৫জন মিলে বর্গাচাষী ফারুখ মিয়ার দুই কানি (৮০ শতক) জমির বোরো ধান কাটছেন স্কাউটস সদস্যরা। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষীর ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা।
কৃষক ফারুখ মিয়া বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪‘শ থেকে ৫‘শ টাকা পারিশ্রমিক একজন শ্রমিককে দিতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ করে স্কাউটস সদস্যরা সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন। আমি খুবই আনন্দিত।
স্থানীয় বাসিন্দা মারুফ আহমেদ বলেন, ধান রোপন ও ধান কাটার সময় কৃষকরা এক ধরনের শ্রমিক সংকটে ভোগেন। করোনা পরিস্থিতিতে কর্ণিকার মুক্ত স্কাউটস গ্রুপের সদস্যরা এভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
কর্ণিকার মুক্ত স্কাউটস গ্রুপ’র সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরনের ক্রান্তিকাল পাড় করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। তাই আমাদের কর্ণিকার সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
সমাজের অন্যান্যদেরও অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।