হাসান আহমদ, ছাতক::
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে মানুষ গৃহবন্দি। সুনামগঞ্জ জেলা লক ডাউন হওয়ায় হাট-বাজার জনমানব শূণ্য। ছাতকের বড় হাওর পাড়ের খিরা ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রয়ের অস্থায়ী হাট বসে প্রতি বছর চৌকা পয়েন্টে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা আসতেন। এ বছরও অস্থায়ী হাট বসেছিল। লক ডাউনের কারণে অস্থায়ী হাট বন্ধ করে দেন স্থানীয় লোকজন। ক্রেতা নেই যার কারণে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে চাষকৃত সবজি। পানির দামে কেউ কেউ কিনে নিচ্ছেন।
জানা যায়, বড় হাওরের দক্ষিণ অংশের শতাধিক একর বোর জমি পলিতে ভরাট হয়ে যায় ২০ বছর আগে। এ ভরাটকৃত জমিতে গরু চরণ ছাড়া কোন ধরনের ফসল উৎপাদন হতো না। এলাকার দু’একজন কৃষক এ পতিত জমিতে ৮/১০ আগে প্রথমে খিরা ও মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেন এবং উৎপাদন ভাল হয়। এর পর থেকে দিন দিন আবাদ বাড়ে। কম খরছে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে অনেকেই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। খিরা যেন এখানের ৬/৭টি গ্রামের কৃষকদের স্বপ্ন। সুনামগঞ্জ, দিরাই, শান্তিগঞ্জ, পাগলা বাজার, জাউয়া বাজার, দোলারবাজার, গোবিন্দগঞ্জ বাজার, মানিকগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এ অস্থায়ী হাট থেকে খিরা ক্রয় করেন। এখানের উৎপাদিত খিরার সিংহ ভাগ সিলেটের টুকের বাজার আড়তে নিয়ে চাষিরা বিক্রি করে থাকেন। করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের কারণে চৌকার অস্থায়ী হাট বন্ধ করা হয়। পরিবহন বন্ধ থাকায় সিলেটের টুকের বাজার আড়তে খিরা বিক্রি করতে না পাড়ায় জমিতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে না পাড়ায় এবছর শতাধিক চাষীরা দিশেহারা।
হরিশ্বরণ গ্রামের আব্দুল হামিদ জানান, মিষ্টি কুমরা এখন বাজারজাত করা যাচ্ছেনা। লক ডাউনের আগে কিছু বিক্রি করলেও দাম পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস মিয়া জানান, এ বছর খিরা চাষ করতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে বিভিন্ন রোগ ভালাইয়ের কারণে। ফলন যা হয়েছে বিক্রয় করতে পারলে উৎপাদন খরছ পাওয়া যেত। বিক্রয় করতে না পাড়ায় খিরা জমিতে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, লক ডাউনের কারণে চৌকার অস্থায়ী হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর খিরা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। যা ফলন হয়েছিল বিক্রি করতে পাড়লে কিছুটা লাভ হতো। ##