হাওর ডেস্ক::
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবুও সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে লকডাউন চলছে তা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়েছে। এসব বিক্ষোভের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই লকডাউন এখন শিথিল করা যেতে পারে। তবে প্রেসিডেন্টের এমন দাবির বিরোধিতা করেছেন বেশিরভাগ রাজ্যের গভর্নররা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার আড়াই হাজারের বেশি মানুষ ওয়াশিংটন রাজ্যের রাজধানী অলিম্পিয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা রাজ্যের ডেমোক্র্যাট গভর্নর জে ইন্সলের লকডাউনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। পাশপাশি ৫০ জনের বেশি লোক জড়ো না হওয়ার গভর্নরের নির্দেশ অমান্য করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটির আয়োজনকারীরা মাস্ক পরে আসতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে মিছিলে অংশ নেওয়া বেশিরভাগের মুখেই ছিল না মাস্ক।
কলোরোডা রাজ্যের রাজধানী ডেনভারে কয়েক’শ মানুষ লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। তারা খুব শিগগির রাজ্যটি থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। অনেক বিক্ষোভকারী তাদের গাড়ি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আটকে দেন। এ সময় কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে ওই সড়কগুলোতে আটকে থাকতে দেখা যায়।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞারা। তবে লকডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এক মাসে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরেই টেক্সাস, উইসকনসিন, ওহিও, মিশিগান, মিনেসোটা ও ভার্জিনিয়া রাজ্যে বিক্ষোভ করে আসছেন লকডাউনবিরোধীরা।
এসব বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, তারাই আসল দেশপ্রেমিক। তারা কাজে ফিরতে চান।
আগমী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে যদি দেশের অর্থনীতির দশা খারাপ হয় তাহলে নির্বাচনেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সে আশঙ্কা থেকে অর্থনীতি ‘বাঁচানোর’ কথা বলে লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে বলছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এরই মধ্যে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৭৪৩ জনের।
সূত্র- রয়টার্স।