বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হাওরের কৃষকের ধান কেটে দিলেন সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার। বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের কৃষক সফেদ আলীর ৬০ শতাংশ জমির ধান ডাকুয়ার হাওরে গিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দেন কৃষক লীগ নেতাকর্মীরা। ধানকাটা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি নেতাকর্মীতেদর সঙ্গে হাওরে অবস্থান করেন। এসময় স্থানীয় শ্রমিকদেরও ধান কাটায় আসতে উৎসাহিত করেন তিনি। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব রেখে অবস্থানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
গত মঙ্গলবার তিনি কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জামালগঞ্জে মিনি পাকনা ও ভিমখালী হাওরের দুইজন কৃষকের এক একর জমির ধান কেটে দিয়েছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগ ও প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নের কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দকে হাওরের ধান কাটার আহ্বান জানিয়ে তিনি নিজেই গত দুইদিন ধরে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাওরে ধান কাটায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ কৃষকলীগের আহবায়ক আব্দুল কাদির শান্তি মিয়া, সদস্য সচিব বিন্দু তালকদার, সদস্য আনোয়ারুল হক, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক মইনুল হক, সদস্য সচিব মহিবুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় দেশব্যাপী লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব চলছে। এই অবস্থায়ম হাওরে ধানকাটার মওসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া হাওরে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে উভয় সংকটে পড়েছেন হাওরের লাখো কৃষক। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলো সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে স্বেচ্ছাশ্রমে কিছু কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরাও কৃষকের পক্ষে স্বেচ্ছায় হাওরে কাজ করছেন। প্রশাসনও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাওরের ফসল কাটার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কৃষককে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সিলেট আসনের মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন এই দুর্যোগে হাওরের কৃষকের পক্ষে দাড়ানোর জন্য। এই এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি মনে করি নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সবাইকেই এখন মাঠে নেমে কৃষককে সাহস দিতে হবে। করোনা ও বন্যার আগ্রাসনে আমাদের ফসল নষ্ট হলে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিকে। তাই হাওরাঞ্চলের সকল শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদেরকে এখনই কৃষকের পক্ষে কাজ করতে হবে।