দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবকের মরদেহ বহনে খাটিয়া ব্যবহার করতে না দেওয়া সেই পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। গত ৭ এপ্রিল আব্দুস সালাম নামের ওই ইটভাটা শ্রমিক সর্দি কাশি ও জ্বরে মারা গেলে পরদিন তার লাশ বহনে মসজিদের খাটিয়া ব্যবহার করতে দেয়নি গ্রামবাসী। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তীব্র নিন্দা ক্ষোভের জন্ম দেয়। এ নিয়ে প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে ওই দিন কোন করোনা আক্রান্ত রোগী বা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীদের বহনে মসজিদের খাটিয়া ব্যবহারে বাধা দিলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ৮ এপ্রিল দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বখতারপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিকের লাশ কাঁধে বহন করে কবর দেন বাবা ও দুই ভাই। ওই যুবকের সংগৃহিত নমুনা ও তার পরিবারের নমুনা পরবর্তীতে নেগেটিভ আসে। এরপর থেকেই হতদরিদ্র এই পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছিল। খাদ্যসংকটে ছিল বলে গতকাল তার মা সালেমা বেগম ও বাবা জবুর মিয়া ইউপি সদস্য সোহেল আহমদ মিন্টুকে অবগত করেন।
এদিকে ওই অসহায় পরিবারের কথা ইউনিয়নের ৪নং ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সোহেল আহমদ মিন্টুর মাধ্যমে জানতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। তিনি ২২ এপ্রিল বুধবার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ওই অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ওই যুবকের পরিবারকে নগদ টাকা, চাল, ডাল ও তেলসহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
ইউপি সদস্য সোহেল আহমদ মিন্টু বলেন, আমাকে আব্দুস সালামের মা ফোনে জানান তাদের ঘরে খাবার নেই। বাড়ি থেকেও লকডাউনের কারণে বের হতে পারছেন না। এছাড়া সামাজিক সমস্যাও আছে। আমি এ বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অবগ করি এবং মোবাইলে তার সঙ্গে ওই যুবকের মায়ের কথা বলিয়ে দেই। ওই মহিলা সরাসরি তার দুঃখের কথা জানান সাধারণ সম্পাদককে এবং সাহায্য কামনা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, আমি ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ওই যুবকের পরিবারের দুর্দশরা কথা জানতে পারি। পরে যুবকের মায়ের সঙ্গে কথা বলি। তিনি চরম দুরাবস্থায় আছেন জানালে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তাকে চাল, তেল, ডাল ও নগদ কিছু টাকা দিয়েছি। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও এই পরিবারের খোজ খবর নিতে অনুরোধ করেছি।