হাওর ডেস্ক::
সুনামগঞ্জে নতুন করে আরও ৮ জন করোনাভাইরাস পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় এই ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এনিয়ে সুনামগঞ্জে ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, বৃহস্পতিবার ওসমানী মেডিকেলের করোনা পরীক্ষাগারে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজেটিভ আসে। ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুনামগঞ্জের, সিলেটের ৫ ও হবিগঞ্জের ৩ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ এপ্রিল রবিবার দোয়ারাবাজারে এক মহিলা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। করোনা পজিটিভের তথ্য পাওয়ার পর থেকেই উপজেলার চন্ডিপুর এলাকা এলাকা লকডাউন করা হয়। ওই মহিলার বাড়ি উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। মহিলার স্বামী গত ৫ মার্চ সৌদি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। ১৩ এপ্রিল সোমবার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেরীগাঁও গ্রামের এক মহিলা করোনা শনাক্ত হন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার শরীরের নমুনা ওসমানী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গত শুক্রবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেছেন। ওই নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলায় একদিনে ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। জেলার দিরাই, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক ও জগন্নাথপুর উপজেলায় ১জন করে করোনা রোগী পাওয়া গেছে।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া চার ব্যক্তির মধ্যে একজনের বাড়ি রংপুর জেলায়। তিনি একটি কোম্পানীতে চাকরির সুবাধে জেলার ছাতক উপজেলায় আছেন। অন্য তিনজনের বাড়ি জেলার জগন্নাথপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দিরাই উপজেলায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে যিনি শনাক্ত হয়েছেন তিনি একজন নারী। ছাতকে এবং জগন্নাথপুরে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিরাই এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জে শনাক্ত হওয়া দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেসন ওয়ার্ডে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের আশপাশের বাড়িগুলোকে লকডাউন করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি (১৮) নারায়ণগঞ্জের একটি বিস্কুট কারখানায় কাজে ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল বাড়িতে এসেছেন। করোনা পজেটিভ ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ গত ১৭ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে পরিবারের ১৩ সদস্য নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার নিজ গ্রামে এসেছিলেন।
দিরাই উপজেলায় শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তি (২৬) কিশোরগঞ্জ জেলায় একটি মিস্টির দোকানে কাজ করতেন। গত ১৭এপ্রিল তিনি বাড়িতে এসেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা যে নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে তিনি মূলত তার এক আত্মীয় রোগীকে নিয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন।