হাওর ডেস্ক ::
সারা দেশে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলার সিদ্ধান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভা ডাকা হয়েছে। এই সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আজ জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আবেদনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সপ্তাহে দুইদিন আদালত খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ সাধারণ আইনজীবীদের অনুরোধ, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল আদালত খোলার বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালে তাঁর সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে তাঁর বা তাঁদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির (কারাগারে থাকা হাজতি আসামির আবেদনসহ) সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
ওই নির্দেশনার পর সারা দেশে আইনজীবীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আদালত খোলার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এ অবস্থায় স্বল্প পরিসরে আদালত খোলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো।