বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে চাল করে খাদ্য গুদামে দেবার শর্তে সুনামগঞ্জে এ বছর ২৯ হাজার মে. টন চাল মিলারদের নামে প্রাথমিক বরাদ্দ দিয়েছে। আর মিলাররা যাতে বাইরের জেলা থেকে চাল এনে স্থানীয় কৃষকদের বঞ্চিত না করে সে জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট চালকল মালিকদের মিলের বিদ্যুতের মিটার চেক করে তথ্য নিয়ে আসবে জেলা প্রশাসন। এবার ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে যাতে মিলাররা যাতে কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম না করতে পারে সেজন্য জেলা ধান চাল সংগ্রহ কমিটি এবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মিলারদের চাল সংগ্রহের নামে যাতে স্থানীয় কৃষকদের ঠকিয়ে বাইরে থেকে চাল এনে গুদামে না দিতে পারে জরুরি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল বরাদ্দের তালিকাভূক্ত মিলাররদের সংশ্লিষ্ট মিলের সম্পূর্ণ তথ্য নিবে প্রশান। এর মধ্যে ৩০ এপ্রিল থেকে তাদের মিলের বিদ্যুতের মিটারের বিলের তথ্য নিয়ে আসা হবে। তাছাড়া মিলাররা যাতে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে নিজের মিলে ভাঙ্গিয়ে গুদামে দিতে পারে সেজন্য কৃষকদের তথ্যও রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের তথ্য, নাম ঠিকানাসহ টালি খাতায় তাদের সম্পূর্ণ তথ্য রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, গত বছর বাইরে থেকে চাল এনে গুদামে ডুকানোর চেষ্টা হয়েছিল। এবার যাতে এরকম কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। তাই মিলারদের বিদ্যুতের মিটারের তথ্য ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই নিয়ে আসা হবে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনলে সেই কৃষকের সম্পূর্ণ তথ্যই আমাদের দিতে হবে। এবার কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে দেওয়া হবেনা।