বিশেষ প্রতিনিধি::
ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ১৫ তম মৃত্যুকার্ষিকী আজ। উপমহাদেশের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল মারা যান। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারলেও তার শেষ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। উপমহাদেশে একজন ঝানু কুটনৈতিক হিসেবে এখনো তিনি শ্রদ্ধার দাবিদার।
তবে এ বছর করোনার কারণে আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বড় কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে আমতৃ্যু দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শীর্ষ কাতারে ছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার সিদ্বান্ত অনুযায়ী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের শীর্ষ নেতা ছিলেন তিনি।
আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ভুরাখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জ জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৪৬ সালে একই সংগঠনের অবিভক্ত আসামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট এনডিএফ-এর দপ্তর সাম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়াসহ নানা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৯৬ এর জনতার মঞ্চের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সামাদ আজাদ। ২০০১ সালের শেষ নির্বাচনে দল হারলেও আব্দুস সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।