হাওরে ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের আশ্রয়ণ প্রকল্পের গম ট্রলার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছে সিলেটে। রাতের আঁধারে আসা এই গম নিয়ে চলছে তোলপাড়। গমগুলো সিলেটের দক্ষিণ সুরমার একটি ময়দা মিলে গুদামজাত করা হয়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে জড়িতরা চুরি করে গমগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলেও মিলের মালিক বলছেন ভিন্ন কথা।
তার দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই তিনি গমগুলো কিনে এনেছেন।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারি গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের ৩৮ দশমিক ৮২ মেট্টিক টন গম নিয়ে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি ট্রলার ভিড়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের খালোপাড়ে।
পরে রাতের আঁধারেই গমগুলো গুদামজাত করা হয় দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার একটি ফ্লাওয়ার মিলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নে আশ্রায়ন প্রকল্পের কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ১৫৬ মেট্টিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গমগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩৯ মেট্টিক টন গম আসে সিলেটের মেসার্স মিনহাজ ফ্লাওয়ার মিলে।
এ ব্যাপারে মিনহাজ ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্তাধিকারী বদরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি সরকারি নিয়ম মেনে আশ্রয়ন প্রকল্পের গমগুলো কিনে এনেছেন।
এতো কোন অনিয়ম হয়নি। ’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের গম বিক্রির ব্যাপারে জানতে ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু তালুকদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জামালগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছালেহ আহমদ জানান, সরকারি গমের চালান বাইরে বিক্রির নিয়ম নেই। তবে কাজের বিনিময়ে যারা গম পেয়েছেন তারা বিক্রি করতে পারবেন।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন।