দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বকুল মিয়া (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সে গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে গ্রামের সামনের মাঠে ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, নাচনী চন্ডিপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিনের ভাতিজা মারফত আলী ও একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ভাতিজা হান্নার হোসেন নারায়ণগঞ্জ এলাকায় একই কলোনীতে কর্মসূত্রে বসবাস করতো। নারায়ণগঞ্জে বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মারফত আলী ও হান্নার হোসেনের পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সপ্তাহখানেক আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই পরিবার নাচনী গ্রামে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাচনী গ্রামে ফের দু’পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্য স্বাধীন মিয়ার হস্তক্ষেপে আজ (শুক্রবার) বেলা ৫ টায় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। পঞ্চায়েত শুরুর কিছুসময় আগে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে বকুল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সংবাদ পেয়ে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তেরজন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হচ্ছ।