হাওর ডেস্ক ::
চলমান রমজান ও আসছে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামি ৭ মে থেকে সীমিত আকারে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে।
দেশে করোনা শনাক্তের হার যখন বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, ঠিক তখনি সরকারের তরফ থেকে ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে’র স্বার্থে দোকান-পাট খোলার এমন সিদ্ধান্ত আসলো। তবে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কিন্তু ঢাকায় গণপরিবহন চলতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা নেই।
একইসঙ্গে জনসাধারণের চলাচলের সময়েও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। নতুন ছুটির সময় থেকে রাত ৮টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজন (চিকিৎসা, লাশ দাফন, জরুরি সেবার কাজ) ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এর আগে সন্ধ্যায় ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ আদেশটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, আগামি ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সীমিত করা যেতে পারে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘রমজান এবং ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানা-পাট খোলা রাখা যাবে।’ তবে এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে’।
বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘বড় শপিংমলগুলোর প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দোকান-পাট ও শপিংমলগুলো অবশ্যই বিকেল ৫টারমধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে।
অন্যদিকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সাধারণ চলাচলের কঠোরতা বজায় থাকবে। জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে এই বিষয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে আদেশে।
আদেশে সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত যান চলাচল উন্মুক্ত থাকবে। অন্যদিকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। দেশব্যাপী দোকানপাট খোলার অনুমতি দিলেও বড় শহরগুলোতে অভ্যন্তরীণ গণপরিবহণ চলালের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।